ভোট এলেই সেতু আসে : বছরের পর বছর পারাপারে নৌকাই ভরসা বর্ষার মরশুমে

11th September 2020 9:27 am বর্ধমান
ভোট এলেই সেতু আসে : বছরের পর বছর পারাপারে নৌকাই ভরসা বর্ষার মরশুমে


পার্থ ব‍্যানার্জী ( জামালপুর ) : ভোট এলেই সেতু তৈরী করার প্রতিশ্রুতি আসে । সেই বাম আমল থেকে এক ই ট্র‍্যাডিশন আজ ও অব‍্যাহত । ভোট মিটলেই শাসকের চেয়ারে বদল ঘটলেও দুর্ভোগ কাটে না হাজার হাজার মানুষের । বিপদ হাতে নৌকাই নদী পারাপারের একমাত্র ভরসা । বর্ষার মরশুমে ফি বছর এভাবেই চলছে যাতায়াত পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের অমরপুর এলাকার বাসিন্দাদের । বর্ষা এলেই যেন বিচ্ছিন্ন একটা দ্বীপ এমনটাই বলছেন স্থানীয়রা । 

প্রতিবছরের মত এবছর ও এক ই চিত্র । বর্ষায় জল বেড়েছে দামোদর নদে । বছরের অনান‍্য সময় দামোদরে যখন জল কম থাকে তখন একটি অস্থায়ী কাঠের তৈরী সেতু থাকে । সেই সেতু দিয়েই সাইকেল , মটোর সাইকেল সহ স্থানীয় মানুষ আসা যাওয়া করেন । নদীর ওপাড়ে অমরপুর থেকে এপাড়ে জামালপুর সহ অনান‍্য জায়গায় কাজের প্রয়োজনে বহু মানুষের যাতায়াত । পড়াশোনা , চিকিৎসা , ব‍্যবসা বা অনান‍্য প্রয়োজনেও আসতে হয় নদী পাড়ের মানুষকে । মহিলারাও যাতায়াত করেন । কিন্তু দামোদর নদে জল বাড়ার সাথে সাথে খুলে দেওয়া হয় কাঠের সেতু । তখন ভরা দামোদরে নৌকাই একমাত্র ভরসা পারাপারের । নৌকায় প্রতিদিন প্রায় ৭০০ থেকে ৮০০ যাত্রী যাতায়াত করেন । কোনো সতর্কতা নেই খেয়াঘাটে । লাইফ জ‍্যাকেট ছাড়াই গাদাগাদি করে পারাপার । এমনকি সাইকেল , মোটরসাইকেল , পণ‍্য সামগ্ৰী নিয়ে । করোনা মহামারীর সময়কালেও উধাও সব বিধি । শারিরীক দূরত্ব বজায় রাখার বালাই নেই । উদাসীন কতৃপক্ষ । যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে । সামগ্ৰিক বিষয়ে খেয়া ঘাট কতৃপক্ষ মুখ খুলতে নারাজ । সংবাদ সংগ্ৰহ করতে গিয়ে বর্ধমান টিভি র প্রতিনিধিকেও বাধার মুখে পড়তে হয় । যদিও এলাকাবাসীরা প্রতিবাদ জানান খেয়াঘাট কতৃপক্ষের আচরনের । ভোট আসে ভোট যায় । দামোদর নদের উপর স্থায়ী সেতু শুধু প্রতিশ্রুতি হয়ে হাওয়ায় ভাসে । বিপদ জেনেও তাই ভরসা সেই নৌকাই ! 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।